আপলোডকারী: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মোবাইল ফোনে গেমস খেলার প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার শেষে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটি গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্ত তানভীর হোসেন (২০) একই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সে।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় চাচাতো ভাই তানভীর শিশুটিকে মোবাইল ফোনে গেম খেলার প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘরে ডেকে নেয়। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় তানভীর। পরে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ আকলিমা খাতুন বলেন, শিশুটির অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক ছিল একটু দেরি হলে আর হয়তো বাচানো সম্ভব হতো না। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। চব্বিশ ঘণ্টা পার না হলে কিছু বলা যাবে না।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, শিশুটির চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে সব রকম সহায়তা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক তানভীর ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নেমেছে। সে বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। আমরা তার পাসপোর্ট নম্বর সব ইমিগ্রেশন অফিসে পাঠিয়েছি, যাতে সে কোনোভাবেই পালিয়ে না যেতে পারে। দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সন্ধ্যায় হাসপাতালে শিশুটির খোঁজখবর নেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা।
