রংপুরের কাউনিয়ায় আশিকুর রহমান (১৭) নামে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সহপাঠিরা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আতিকুর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে গিয়েছিল আশিকুর রহমান নামের কাউনিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রথম র্ষের শিক্ষার্থী।
এ সময় কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে মামুন নামে তার এক বন্ধু তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে এ ঘটনায় আরো পাঁচজন কিশোর আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
নিহত আশিকুর রহমানের মা আবেদা বেগম জানান, বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যাওয়ার পর বাসস্ট্যান্ডে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে কয়েকজন যুবক।
এ ঘটনায় বিচারের দাবি করছেন তার মা। নিহত আশিকুর রহমানের মায়ের দাবি পূর্ব থেকে ওই বন্ধুদের সঙ্গে তার ঝগড়া ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন মা আবেদা বেগম।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে কাউনিয়ার বাসস্ট্যান্ডে। পরে আহত অবস্থায় আশিকুর রহমানকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কলেজছাত্র মারা যায়। কাউনিয়া উপজেলার হরিসর গ্রামে তফিল উদ্দিনের ছেলে আশিকুর রহমান (১৭)।
নিহত আশিকুরের ভাই আলমগীর হোসেন জানান, যারা আমার ছোট ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা কিশোর গাং লিডার মামুন, আতিকুরসহ বেশ কয়েকজন। ওইসব ছেলেগুলো সারাদিনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে।
এ ঘটনায় আতিকুর রহমান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবি করেন নিহতের ভাই।
রংপুরের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোন্তাসের বিল্লাহ জানান, কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আরো পাঁচজন কিশোর মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছে। নিহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানান।
তিনি আরো জানান, আশিকুর রহমানকে লাঠি দিয়ে আঘাত করার পর গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিশ জানায়।