নাটোরের গুরুদাসপুরে একরামুল হক (৬৮) নামের এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সোনাবাজু এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
একরামুল গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড়বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী আরজিনা বেগমকে নিয়ে বাস করতেন। তাঁদের কোনো সন্তান নেই। একরামুলের বাড়ি রাজশাহীর শাহমখদুম থানার চকপাড়া গ্রামে।
পুলিশ ও একরামুলের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একরামুল ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পাশাপাশি তিন বিঘা জমি ইজারা নিয়ে সেখানে চাষাবাদ করছিলেন।
একরামুলের স্ত্রী আরজিনা বেগম বলেন, সংসার চালানোর জন্য তাঁর স্বামী বিভিন্ন ধরনের পেশায় যুক্ত ছিলেন। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ তিনি ভ্যান চালানো বেছে নিয়েছিলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ভ্যানটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। তবে গতকাল রাতে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। আজ সকালে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সোনাবাজু এলাকার একটি আমবাগানে একরামুলের লাশ পড়ে থাকার খবর পান তিনি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনোয়ারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। একরামুলের ভ্যানের পাশেই তাঁর লাশ পড়ে ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) লাশটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে একরামুলের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে একরামুলের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।